Ahmedabad PlaneCrash
আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্টে মিলল থ্রাস্ট লিভারের যান্ত্রিক ত্রুটি: চাঞ্চল্যকর তথ্য
AAIB-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে আসে নানা তথ্য। AAIB-এর রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়- জ্বালানি সুইচের ত্রুটি সম্পর্কে FAA-এর আগে সতর্ক করেছিল। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১২জুলাই, ২০২৫ : শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মিলল এক ভয়াবহ চাঞ্চল্যকর তথ্য।এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমানটি গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে যাচ্ছিল। সেই সময় টেক অফ -এ যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আমেদাবাদ এয়ারপোর্টের বাইরে মেঘানিনগর এলাকায় মেডিক্যাল হাস্টলের বিল্ডিংয়ে জোরে ধাক্কা মারে। তারপরে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে যাত্রীবাহী বিমানটি।
আমরা জানি, যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি কেউ কেউ এই বিমান দুর্ঘটনায় নাশকতার আশঙ্কাও করেছিলেন। এরই মধ্যে, শুক্রবার রাতে ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ (AAIB)-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে আসে নানা তথ্য। AAIB-এর রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়- জ্বালানি সুইচের ত্রুটি সম্পর্কে FAA-এর আগে সতর্ক করেছিল। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি বলে জানা গিয়েছে। একইসাথে, AAIB-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উঠে আসে নানা তথ্য, সেগুলি হল-
১) জ্বালানি সুইচ ত্রুটি সম্পর্কে FAA-এর দেওয়া নির্দেশিকা মানেনি এয়ার ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা।
২) বিমানটি মোট ৩২ সেকেন্ড আকাশে ছিল। তারপর রানওয়ে থেকে ০.৯ নটিক্যাল মাইল দূরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে।
৩)ব্ল্যাকবক্স অনুযায়ী টেকঅফ থ্রাস্ট সক্রিয় ছিল, কিন্তু থ্রাস্ট লিভার নিস্ক্রিয় অবস্থায় ছিল—যা বিচ্ছিন্নতা বা যান্ত্রিক ত্রুটির ইঙ্গিত দেয়।
৪)টেকঅফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাঝ আকাশে বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এআই-১৭১-এর দু’টি ইঞ্জিনই।
৫) পাইলটদের প্রচেষ্টায় ইঞ্জিন ১ শেষ মুহূর্তে চালু হলেও স্থিতিশীল হয়নি। ইঞ্জিন ২ আর চালু করা যায়নি। ফলে গতি হারিয়ে ক্র্যাশ করে বিমানটি।
প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর ফুয়েল সুইচ, এয়ার ইন্ডিয়া-এর FAA-এর দেওয়া নির্দেশিকা না মানা, পাইলটদের শেষ অডিয়ো, এরকম একাধিক বিষয় নিয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত করার জন্য কড়া নির্দেশনামা পালন করছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।

Comments