Murdar

পথচারী আহত হওয়ায় গাড়ি চালককে পিটিয়ে হত্যা করল গ্রামবাসী! আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলো গাড়িটি ও !

ত্রিপুরা ঊনকোটি জেলা কৈলাসহর কালীশাসন চা বাগান এলাকায় একটি অল্ট্রো গাড়ি দ্রুত গতিতে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে এক চা বাগান শ্রমিককে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি একটি পাকা ড্রেনে পড়ে যায়। পথচারী আহত হওয়ায় গাড়ি চালককে পিটিয়ে হত্যা করল গ্রামবাসী

দেবাশীষ দত্ত, বিক্রম কর্মকার ( ত্রিপুরা) : ত্রিপুরা ঊনকোটি জেলা কৈলাসহর কালীশাসন চা বাগান এলাকায় একটি অল্ট্রো গাড়ি দ্রুত গতিতে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে এক চা বাগান শ্রমিককে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি একটি পাকা ড্রেনে পড়ে যায়। গাড়িটি ড্রেনে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই গাড়ি চালক সহ গাড়ির ভিতরে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌঁড়ে চা বাগানের ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে পড়ে। 

উত্তেজিত জনতার রোষানলে গাড়ির চালকেরবমৃত্যু 

অল্টো গাড়িটি চা বাগান শ্রমিক কে ধাক্কা পর  উত্তেজিত গ্রামবাসীরা গাড়ি চালক সহ গাড়ির ভিতরে থাকা মানুষদের চা বাগানের ভিতরে খুজতে থাকে। অনেকক্ষন খোঁজাখুঁজির পর চা বাগানের ভিতরে গাড়ি চালককে পেয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বেধড়কভাবে মারধর করে চা বাগানের ভিতরে মৃতদেহ ফেলে চলে যায়। অন্যদিকে, গাড়ির ধাক্কায় চা বাগান শ্রমিক লগেন উরাং-এর পা ভেঙ্গে যায়। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসীরা অল্ট্রো গাড়িটিতে  আগুন দিয়ে পুরো গাড়িটি জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে গাড়ি চালক প্রদীপ দাসের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, মৃত গাড়ি চালক প্রদীপ দাসের বাড়ি ত্রিপুরা ঊনকোটি জেলা কুমারঘাট রতিয়াবাড়ি এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে কৈলাসহর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুঁটে এসে গাড়িটির আগুন নেভায় এবং গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত চা বাগান শ্রমিক লগেন উরাং-কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের তৎপরতা 

 ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়  ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার সুধামবিকা আর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এল ভাংলিমা ডার্লং , কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার, কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী সহ বিশাল পুলিশ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস বাহিনীর জওয়ানরা। মৃতদেহ পাবার পর পুলিশের মৃতদেহ চিহ্নিত করনের কাজ চলাকালীন সময় হঠাৎ করে গাড়িতে থাকা আরেক যাএী নির্মল দাস  চা বাগানের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ নির্মল দাসকে কৈলাসহর থানায় নিয়ে যায়। নির্মল দাসের বাড়ি পেচারতল বাজার এলাকায়। নির্মল দাসের কাছ থেকে জানা যায় যে, গাড়িটিতে মোট তিনজন ছিলো।  গাড়িটির পিছনে দীপন দেবনাথ নামে আরেক যুবক ছিল। তার বাড়ি কুমারঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় বর্তমানে গোটা কৈলাসহর মহকুমায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Advertisement