ত্রিপুরা
খোয়াইয়ে ফের ধরা পড়ল ৮০০ প্যাকেট সূর্য মশার কয়েল ও ৪৩২ প্যাকেট ফেন্সি চকলেট ক্র্যাকারসের চালান, তিন গাড়ির মধ্যে উদ্ধার হলো মাত্র একটির পণ্য, বাকি চালান নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
বিজয় দাসের গুদামে হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত হয় ৮০০ প্যাকেট সূর্য মশার কয়েল ও ৪৩২ প্যাকেট ফেন্সি চকলেট ক্র্যাকারস
যশপাল সিং, ত্রিপুরা :বাংলাদেশে চোরাপথে সূর্য মশার কয়েল পাচার নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে উঠল খোয়াই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খোয়াই থানা ও সুভাষপার্ক আউটপোস্টের যৌথ অভিযানে পুলিশের দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় চৌধুরীর উপস্থিতিতে গণকি এলাকার বিজয় দাসের গুদামে হানা দেয়।সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ৮০০ প্যাকেট সূর্য মশার কয়েল ও ৪৩২ প্যাকেট ফেন্সি চকলেট ক্র্যাকারস।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, শনিবার রাতেই মোট তিনটি গাড়ি সূর্য কয়েলের চালান নিয়ে খোয়াই শহরে প্রবেশ করে। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মাত্র একটি গাড়ির মালামাল। বাকি দুই গাড়ির চালান কোথায় মিলিয়ে গেল, তা নিয়ে এখন তুমুল প্রশ্ন ঘুরছে জনমনে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বিজয় দাস জিএসটি সংক্রান্ত কিছু নথি পুলিশের কাছে দেখিয়েছেন। কিন্তু তাতেও নানান প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
তবে জনগণের দাবি, খোয়াই সীমান্ত হয়ে বছরের পর বছর ধরেই সূর্য কয়েল বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলির সংবাদমাধ্যমেও এই অবৈধ বাণিজ্যের খবর নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। খোয়াইবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশের অঘোষিত সহযোগিতা ছাড়া এত বড় আকারের পাচার সম্ভব নয়। রবিবারের অভিযান কেবল নামমাত্র পদক্ষেপ বলে মনে করছেন জনসাধারণ এবং তাদের দাবি মূল নেটওয়ার্ক এখনও অক্ষত রয়ে গেছে।” শুধু সূর্য কয়েল নয়, খোয়াই জুড়ে আরও বহু অবৈধ ব্যবসা সক্রিয়। এতে রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের সাহস আরও বাড়ছে। জনগণের দাবি— একটি পণ্যের নয়, গোটা চক্রকেই ভেঙে দিতে হবে প্রশাসনকে।

Comments