RAPE

১১ বছরের নাবালিকা মেয়েকে  ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক প্রসেনজিৎ মুহুরীকে ২০ বছরের কারাদন্ডের  নির্দেশ আদালতের

গাড়ি চালক একটা নাবালিকা মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে  তুলে নিয়ে তারপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে একটি নির্জন রাবার বাগানে নিয়ে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ত্রিপুরা,বিক্রম কর্মকার : ১১ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ এবং ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ধর্ষক ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলা বিলোনিয়া থানাধীন ঋষ্যমুখের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ২২ বছরের প্রসেনজিৎ মুহুরীকে বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের স্পেশাল বিচারক গোবিন্দ দাস ২০ বছরের সশ্রম কারদন্ডে দণ্ডিত করে। তৎসঙ্গে আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ। 

নাবালিকা কে ধর্ষণ গাড়িচালেকর 

১১ বছরের নাবালিকা মেয়েটি যখন রামনগর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সেই সময় একই গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মুহুরী পেশায় গাড়ি চালক সে নাবালিকা মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে  তুলে নিয়ে তারপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে একটি নির্জন রাবার বাগানে নিয়ে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর পুলিশ এবং গ্রামবাসী যখন নাবালিকা মেয়েটিকে খোঁজ করছিল তখন রাত প্রায় ১১টা নাগাদ অভিযুক্ত ধর্ষক প্রসেনজিৎ মুহুরী নাবালিকা মেয়েটিকে বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর নাবালিকা মেয়েটির মা বিলোনিয়া মহিলা থানায় অভিযুক্ত ধর্ষক প্রসেনজিৎ মুহুরীর কঠোর শাস্তি চেয়ে লিখিতভাবে  মামলা করে। তারপর পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং আদালতে নাবালিকা মেয়েটির জবানবন্দী রেকর্ড করে। 

নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় রায়দান 

নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশ ১৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরলেও আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে আজ এই মামলার রায় দেন। বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা আদালতের স্পেশাল বিচারক সাক্ষীদের কথা শুনে অভিযুক্ত ধর্ষক প্রসেনজিৎ মুহুরীকে দোষী সাব্যস্ত করে পক্সো আইনে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই রায়ে স্বাভাবিকভাবে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার খুশি হলেও আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত ধর্ষক প্রসেনজিৎ মুহুরীর পরিবারের লোকজনরা। এই মামলার তদন্তকারী মহিলা পুলিশ অফিসার ছিলেন বিলোনিয়া মহিলা থানার ওসি ইন্সপেক্টর স্বপ্না ভৌমিক। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এই মামলার স্পেশাল পিপি আইনজীবী প্রভাত চন্দ্র দত্ত।

Advertisement