Hospital

হাসপাতালের ওয়ার্ডে জোর জবরদস্তি অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বাধা দিলে তাণ্ডব রোগীর পরিবারের, উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে

পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রবিবার রাতে বাইক দূর্ঘটনায় আহত এক যুবক চিকিৎসার জন্য আসে। পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৭ জন ওই আক্রান্ত যুবকের সাথে হাসপাতালে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আহত যুবকের সঙ্গে কেবলমাত্র ২-৩ জনকেই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বাকিরা হাসপাতালে জবরদস্তি প্রবেশ করা চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয় এবং তারা গালিগালাজ করে

বিধান চন্দ্র গাঙ্গুলী, দুর্গাপুর : চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সূত্র মারফত খবর, রবিবার রাতে বাইক দূর্ঘটনায় আহত এক যুবক চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আসে। পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৭ জন ওই আক্রান্ত যুবকের সাথে হাসপাতালে আসে। এরপর জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর তাকে ওয়ার্ডে যাওয়ার কথা বলা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আহত যুবকের সঙ্গে কেবলমাত্র ২-৩ জনকেই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাধ সাধে সেখানে উপস্থিত পরিবারের বাকি সদস্যরা। তারা প্রত্যেকেই ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে এবং একপ্রকার জোর করেই ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। হাসপাতালের কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। 

জোর করে রোগীর পরিবারের লোকজনরা হাসপাতালে প্রবেশের চেস্টা এবং বাধা পেয়ে গালিগালাজ 

রোগীর পরিবারের লোকজন রা জোর করে ২-৩ জনের অধিক হাসপাতালে প্রবেশ করলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ফেসিলিটি ম্যানেজার তাঁদের বোঝাতে এলে তার উপর হামলা চালানো হয় , যার ফলে হাতে চোট পান তিনি। এরপরই তারা ভাঙচুর চালায় হাসপাতালের এমার্জেন্সির গেটে। ভাঙা হয় বাইক। চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

হাসপাতালের অভিযোগ 

হাসপাতালের ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার মোহন মুর্মুর অভিযোগ, "রবিবার রাতে এক যুবক হাতে চোট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসে। সাথে ১৫ থেকে ১৭ জন ছিল। জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর টিটেনাস নেওয়ার জন্য ভেতরে যেতে বলা হয়। এরপরই ওই যুবকের সাথে আসা প্রত্যেকেই ভেতরে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। তাদের অনুমতি না দেওয়া হলে তারা হাসপাতালের কর্মীদের সাথে ঝামেলা শুরু করে দেন। বাধা দিতে গেলে তার উপর হামলা চালানো হয়। যার ফলে তিনি হাতের আঙুলে চোট পেয়েছেন। এরপরই ইমার্জেন্সির দরজা ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

হাসপাতালে কর্মীরা আতঙ্ক গ্রস্ত

এই ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কে রয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। এরকম হতে থাকলে কাজ করা মুশকিল হয়ে যাবে। পুলিশের নজরদারি আরও জোরদার করার দাবি তোলেন তিনি।" হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী বিশ্বজিৎ মান্ডি জানান, "রাত ১০:৩০ থেকে ১১ টা নাগাদ ১৫ থেকে ২০ টা ছেলে আহত যুবকের সাথে হাসপাতালে আসে। তারা হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করছিল। সেখানে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিবারের সাথেও খারাপ ব্যবহার করছিল। এরপর সবাই মিলে হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বাধা দিতে গেলে হামলা চালানো হয়। পুলিশ এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাসপাতালের কর্মীরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।"

Advertisement