Operation Sindoor
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর বিশ্ব দরবারে ভারতের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে, দেশ রক্ষায় ভারতবর্ষ ঐক্যের প্রতীক
দেশমাতার রক্ষা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে ভারতবাসীর সকল জনগণ একই সুতোয় বাঁধা।

সঞ্জনা সমাদ্দার : হে ভারতবর্ষ, তুমি নবরূপে এসো প্রাণে; এসো হে,তিরঙ্গা আর মানচিত্রের সন্ধিক্ষনে .....
ভারতীয়রা একে অপরের মধ্যে ঐক্যের অনুভূতি প্রদর্শন করে যার ফলে ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভবপর হয়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পাঁহেলগাও ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তার প্রত্যাঘাতে কড়া বার্তা দিয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'। অপারেশন সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অভিযান নয় ৷ এই ঘটনা যে পরিবর্তনশীল ভারতের মুখ তা ২২ মিনিটের প্রত্যাঘাতই আরও স্পষ্ট করে দেয় । এই প্রসঙ্গে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সারা দেশ ঐক্যবদ্ধ ৷ ক্রোধ ও দৃঢ়তায় পূর্ণ ৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর নয়া আত্মবিশ্বাস এবং শক্তি দিয়েছে ৷
সন্ত্রাস দমনে বিরোধীদের গলায় ঐক্যের বার্তা
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে এবার বিশ্বের দরবারে পর্দাপণ করল ভারত। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাতজনের একটি করে দল গঠন করা হয় যারা অপারেশন সিঁদুর কেন জরুরি ছিল তা বিভিন্ন দেশকে গিয়ে বোঝাবেন। সাত জনের নেতৃত্বাধীন দলে থাকবেন আরও একাধিক নেতা সহ বিশিষ্ট নেতৃত্বাধীন ব্যাক্তিবর্গদের একাংশ। মোট ৫৯জন, ৩২ দেশে গিয়ে জানাবেন ভারতের অবস্থান, বর্ণনা করবেন 'অপারেশন সিঁদুর' । সূত্রের খবর, এই আলোচনার পরেই বাংলা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চূড়ান্ত হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে। এরই মধ্যে, বিজেপি সাংসদ বৈজয়ন্ত পান্ডার নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধিদল কুয়েতে বসবাসকারী প্রবাসীভারতীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন দলটি গায়ানার প্রধানমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার মার্ক অ্যান্থনি ফিলিপসের সঙ্গে দেখা করে অপারেশন সিঁদুর - র কেন্দ্রবিন্দু কে তুলে ধরেন । ডি এম কে সাংসদ কানিমোড়ির নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধি দল মস্কো সফর শেষ করে স্লোভেনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মস্কোয় তাঁরা রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদসংস্থার সাংবাদিকদের সামনে বিশেষ ক্ষেত্রে নীরব থেকে সন্ত্রাসবাদের রাজনীতিকরন এবং রাষ্ট্রীয় সমর্থনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাঁদের জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন।
অর্থাৎ ' অপারেশন সিঁদুর ' যে ভারতের রাজনীতিক করনের সকল মেরুদন্ডকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছে তা বলা বাহুল্য ।
প্রতিবেশী দেশের সমর্থনে" জিরো টলারেন্স"
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে ভারতের জিরো-টলারেন্স নীতির সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম কতটা শক্তিশালী তা স্পষ্ট ভাষায় জাপানকে জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিদেশ সফরে যাওয়া সর্বদলীয় টিমের সদস্যরা। ভারতের এই অবস্থানকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হবে বলে জানিয়েছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানকে সমর্থন করেছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদা সুগা–ও। রাশিয়া, আমেরিকা, চিন— এক অর্থে বিশ্বের সব তাবড় শক্তিই চাইছে, আলোচনার মাধ্যমে শান্ত হোক দুই দেশ ভারত এবং পাকিস্তান। অথচ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বছরের পর বছর ধরে সংঘর্ষ, যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এই ক্ষমতাশালী দেশগুলোই । এরই মধ্যে, বিশ্বজোড়া প্রতিক্রিয়ার মাঝে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের এক বাক্যের প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘বিশ্বের উচিত সন্ত্রাসের প্রতি জ়িরো টলারেন্স দেখানো।’ অর্থাৎ , ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির পূর্ণ সমর্থনেই জিরো টলারেন্স নীতি কে আরও দৃড় করেছে তা বলা যেতেই পারে ।
এছাড়াও শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডের নেতৃত্বাধীন অন্য একটি সর্বদলীয় টিম আবু ধাবিতে মন্ত্রী শেখ নাহয়ান মবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। অন্যদিকে, যে সকল সাংসদ বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন, তাঁদের বলার সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ, ভারত যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যের বাঁধনে বদ্ধপরিকর হয়ে দেশমাতাকে রক্ষা করবে এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে ভারতবাসীর সকল জনগণকে একই বাঁধনে বদ্ধপরিকর করবে তা বলা যেতে পারে। আগামী সকল সন্ত্রাসকে পূর্নরূপে নিধন করবে তা নিয়ে আশাবাদী রইল সকল দেশবাসী । বলা যেতে পারে, ভারত হোক উন্নত, ভারত হোক ঐক্যবদ্ধ ।

Comments