Donald Trump

মাস্ক এবং ট্রাম্পের সম্পর্কের উত্থান-পতনের নেপথ্যে কী 'বড় সুন্দর বিল'? নাকি লক্ষ্য মার্কিন মসনদ!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্কের গড়িমসি হচ্ছে আমেরিকার অন্যতম ধনকুবের তথা শিল্পপতি ইলন মাস্ক ।কেন ১০ মাসের বন্ধুত্বে ধরল ফাটল? নিজস্ব স্বার্থ নাকি লক্ষ্য মার্কিন মসনদ !

সঞ্জনা সমাদ্দার : ট্রাম্প ও মাস্কের বন্ধুত্বের সূচনা হয় ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ।বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা তথা প্রিয় বন্ধুকে মার্কিন কুর্সিতে বসাতে নির্বাচনী প্রচারে নামেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক ।এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই মাস্ককে নিজের 'কিচেন ক্যাবিনেট'- র সদস্য করে নেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ট্রাম্প ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে এলে মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয় ।চার লক্ষ কোটি ডলারের এই বিলকে ‘বড় সুন্দর’ বলে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সাথে, মাস্ক দাবি জানায়, সংশ্লিষ্ট বিলটি আইনে পরিণত হলে আমেরিকার দেনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা মার্কিন অর্থনীতির এক ব্যায়বহুল ক্ষতি ।সময়ের সন্ধিক্ষণে বন্ধু ট্রাম্পের কার্যকলাপকে ‘ঋণের দাসত্বে’র বিল বলে অভিহিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্ক। এর পরই ১০ মাসের ‘ছায়াসঙ্গী’র সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।

'বড় সুন্দর বিল'  আসলে কি? 

আইন বড্ড নিরস এবং পড়তে কঠিন হয় তা আমরা সকলেই জানি । সময়ের পরিহাসে, ব্যক্তিদের পরিবর্তন আনার জন্য কঠিন আইন প্রণয়ন করা জরুরি। এই ধারণাগুলির মধ্যে একটি হল ট্রাম্প মনোনীত "ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট" বা OB3 অ্যাক্ট। আসলে ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে একটি বৃহৎ আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এটি রাস্তাঘাট, ভবন, হাসপাতাল, স্কুল, প্রকৃতি এবং অর্থের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে। একসাথে অনেক ছোট আইন পাস করার পরিবর্তে, এই আইনটি একই সাথে অনেক বড় সমস্যা সমাধান করতে চায়। অন্যদিকে,  ১,১১৬ পাতার এই বিলে জোর দেওয়া হয় করের পরিকাঠামোর উপর। আমেরিকায় যাঁরা এইচ-১বি এবং গ্রিনকার্ড নিয়ে বসবাস করেন, তাঁরাই বেশি সমস্যায় পড়বেন বলে সূত্রের খবর। আমেরিকার নাগরিক নন, অথচ কর্মরত তাঁরা নয়া কর কাঠামোর আওতায় পড়বেন। বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, মার্কিন নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিরা যদি আমেরিকায় উপার্জিত টাকা নিজের দেশে পাঠাতে চান,  তার উপর পাঁচ শতাংশ কর চাপানো হবে। করের ব্যাপারে কোনও ছাড়সীমার কথা উল্লেখ করা হয়নি। 


বিলের বিরোধিতায় মাস্কের মতামত

মাস্কের বক্তব্য, এত দিন ধরে তাঁর দফতর যে সাশ্রয়ের পরিকল্পনা করেছে, তা ব্যর্থ হয়ে যাবে এই বিল আইনে পরিণত হলে। এই বিল আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করবে। এমনকি অনেকের মতে মাস্ক এই বিল আটকাতে ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকতে পারেন,  অর্থসাহায্য করতে পারেন। অর্থাৎ, মাস্ক -ট্রাম্প সংঘাতের প্রধান হিসেবে '  বড় সুন্দর বিল' যে কার্যকারী ভূমিকা নেবে তা বলা যেতেই পারে । কিন্তু, বন্ধুত্বের বাঁধন যে চ্ছিন্ন হতে বেশি সময় লাগবে না তারও প্রতিচ্ছবি বার বার উঠে আসছে ইতিমধ্যে । তাহলে বন্ধুত্ব নাকি মার্কিন মসনদ দখল , কোন দিকে এগিয়ে যাবে মার্কিন ধনপতি ইলন মাস্ক ।সময়ের অপেক্ষায় দিন গুনছে মার্কিন প্রশাসন ।ট্রাম্প ও মাস্কের বন্ধুত্বের সূচনা হয় ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় | বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা তথা প্রিয় বন্ধুকে মার্কিন কুর্সিতে বসাতে নির্বাচনী প্রচারে নামেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক | এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই মাস্ককে নিজের 'কিচেন ক্যাবিনেট'- র সদস্য করে নেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ট্রাম্প ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে এলে মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয় | চার লক্ষ কোটি ডলারের এই বিলকে ‘বড় সুন্দর’ বলে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সাথে, মাস্ক দাবি জানায়, সংশ্লিষ্ট বিলটি আইনে পরিণত হলে আমেরিকার দেনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা মার্কিন অর্থনীতির এক ব্যায়বহুল ক্ষতি | সময়ের সন্ধিক্ষণে বন্ধু ট্রাম্পের কার্যকলাপকে ‘ঋণের দাসত্বে’র বিল বলে অভিহিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্ক। এর পরই ১০ মাসের ‘ছায়াসঙ্গী’র সঙ্গে ট্রাম্পের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।

Advertisement