SSC Scam
রাজ্যের গ্রুপ- সি,গ্রুপ-ডি কর্মীদের ভাতা প্রদানে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ: কলকাতা হাইকোর্ট
গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। রাজ্যের এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, -‘এত তাড়াহুড়ো কীসের? ’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও রকম তদন্ত বা স্ক্রুটিনি ছাড়া কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল! রাজ্যের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি।

সঞ্জনা সমাদ্দার ।২০ ই জুন ২০২৫।: চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আদালত পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য।
এখনই যেন ভাতা দেওয়া শুরু না হয়, ত প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মতপ্রকাশ বিচারপতির। রাজ্য আইনের পরিকাঠামোর বাইরে গিয়ে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, এমনটাই মত আদালতের।
এত তাড়াহুড়ো কীসের ?-- প্রশ্ন বিচারপতি অমৃতা সিনহার
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন চাকরিহারাদের একাংশ। এই পরিস্থিতির মাঝে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৫ মে ভাতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। রাজ্যের এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, -‘এত তাড়াহুড়ো কীসের? ’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও রকম তদন্ত বা স্ক্রুটিনি ছাড়া কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল! রাজ্যের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি।
আজ বিচারপতির অমৃতা সিনহা- র রায়
বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য। আদালত আরও জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তার ১৫ দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলাকারীরা। ওই অংশটির বক্তব্য, কেবল ভাতা নয়, এর ফলে চাকরিহারাদের যাবতীয় আলোচ্য বিষয়ই কার্যত চলে গেল আদালতের দরবারে। যদিও, মামলাকারীদের দাবি ছিল, রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক কলকাতা হাইকোর্ট। তবুও সেই মামলাটির রায় দেয়নি বলে সূত্রের দাবি।
অর্থাৎ, সে ক্ষেত্রে চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের কাছে নিজেদের ইচ্ছাকৃত আইনি মতাদর্শ এবং ‘আইনি প্রতিবন্ধকতার’ বিষয়টি তুলে ধরতে পারে রাজ্য প্রশাসন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের চাকরিহারাদের ট্রাম্প কার্ড হিসেবে রাজনীতির ময়দানে ব্যাবহার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । সবশেষে, আইনের জটিলতা এবং রাজ্যের তদারকির পরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে , তাহলে কি রাজপথেই চক ডাস্ট্রার হাতে শিক্ষক সমাজের ভবিষ্যৎ।

Comments