SSC Scam
চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষকের মৃত্যু, আন্দোলনের অন্যতম মুখ সুবল সোরেনের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে চাকরি হারা শিক্ষকরা
শিক্ষক সুবল সোরেন মৃত্যুতে, সহযোদ্ধা কে হারিয়ে সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে দেয় চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক রা।
সঞ্জয় কুমার দোলুই : চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক সুবল সোরেন আজ প্রয়াত (৩৫)। আজ ১৫ ই আগস্ট শুক্রবার সকালে কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে একটা বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক সুবল সোরেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর মস্তিষ্কের রক্ত ক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে। চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন রাজপথে আন্দোলন করেছিলেন চাকরি ফিরে পেতে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে কখনো কখনো ধামসা,মাদল নিয়ে কলকাতা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিল সুবল সোরেন। চাকরি হারিয়ে মানসিক চাপ এবং পুনরায় পরীক্ষা দেওয়া যন্ত্রণা তাঁর এই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করছে পরিবারের লোকজন। সুবল সোরেন আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে আসা করুন দুর্দশা অভাব কে হার মানিয়ে সংগ্রাম করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়ে কিন্তু শুধু মাত্র কমিশনের নিয়োগ দূর্নীতি কারণে চাকরি হারিয়ে মানসিক যন্ত্রণা এবং মানসিক চাপ এর ফলে আজ মৃত্যুর কোলে....
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি চলে যায়। সেই তালিকায় নাম ছিল সুবল সোরেনের। ডেবরা ক্লকের বৌলাসিনি হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন সুবল সোরেন। দীর্ঘ ৭ বছর শিক্ষকতা ও করেছেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরি কেড়ে নিলো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ব্যর্থতা এবং নিয়োগ দূর্নীতি কারণে যোগ্য শিক্ষক রা ও বঞ্চিত হলো। সেই সাথে সুবল সোরেন মতো অসংখ্য যোগ্য শিক্ষক আজ চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অর্ধমৃত অবস্থা। শিক্ষক সুবল সোরেন মৃত্যুতে ক্ষোভ ফেটে পড়ে চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক রা। তাদের সহযোদ্ধা কে হারিয়ে সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে দেয়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা, চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক সুবল সোরেন চাকরি হারিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ছিলো। পরিবারের দাবি নিয়মিত ঔষধ খেত না। চাকরি হারানোর ধাক্কা সামলাতে পারেনি ১১ ই আগস্ট ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু ঘটে। এই মর্মান্তিক মৃত্যু তে চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক রা ক্ষোভ ফেটে পড়ে।

Comments