AXIOM 4 MISSION
অপেক্ষায় ১৪০ কোটি ভারতবাসী! ISS র উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে বীর সন্তান শুভাংশু শুক্লা
ভারতীয় শুভাংশু শুক্লা-সহ আরও তিন জনকে নিয়ে বুধবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানের ৷কিন্তু, যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে এই কর্মসূচী ব্যাহত হয় |

সঞ্জনা সমাদ্দার : ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ট আসন লবে ! কবির এই আক্ষরিক অর্থ সময়ের পরিবর্তনে ঠিক কতটা পরিপূর্ণতা লাভ করছে তা সম্মুখ সমরে আমরা উপলবদ্ধি করতে পারছি ।দেশের ভাবমূর্তি একদিকে যেমন বিশ্বদরবারে সন্ত্রাস জয়ের ধ্বজা উন্মোচিত করেছে , সেই একইভাবে বিশ্বের বীর সন্তান শুভাংশু শুক্লাকে মহাকাশ পথে যাত্রা করতে উৎসাহী প্রদান করেছে ।যদিও প্রযুক্তিগত সমস্যায় পিছিয়ে গিয়েছে শুভাংশুদের মহাকাশযাত্রা,জানাল স্প্রেস এক্স- AXIOM 4 মিশন। সূত্রের খবর, ভারতীয় শুভাংশু শুক্লা সহ তিন সঙ্গীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল 'ড্রাগন' মহাকাশযানের । কিন্তু মহাকাশ যাত্রার জন্য যে ফ্যালকন-9 রকেট ব্যাবহার করা হয়, তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয় ।এমনটাই জানানো হয় স্পেস এক্স- র তরফে ।
মহাকাশযান উৎক্ষেপণে বাধা, নেপথ্যে কারণ কী?
ইসরোর কর্মকর্তা ড. ভি নারায়ণন সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ লিখেছেন, 'আবহাওয়াজনিত কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় গগনযাত্রী পাঠানোর জন্য অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের উৎক্ষেপণ ১০ জুন ২০২৫ থেকে ১১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত করা হয় । উৎক্ষেপণের সময় রাখা হয় ১১ জুন ২০২৫, ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০। অন্যদিকে, সোমবার পরিচালিত পরীক্ষার সময় রকেটে ব্যবহৃত ক্রায়োজেনিক জ্বালানি, তরল অক্সিজেন (LOx) এর লিকেজ ধরা পড়ে, কিন্তু স্পেসএক্স জানিয়েছে যে বুধবার উৎক্ষেপণের জন্য মঙ্গলবারের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ করবে। তবে স্পষ্টতই, সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করা হয়নি। ইতিমধ্যে, আই এস এসে পাঠানোর জন্য ১১ জুন ২০২৫ তারিখে নির্ধারিত অ্যাক্সিওম -৪ র উৎক্ষেপনের স্থগিত করা হয় ।
মহাকাশে শুভ্রাংশু শুক্লার সফরসঙ্গী
Axiom-4 মিশনে শুভ্রাংশু শুক্লার সফরসঙ্গীরা হলেন-
স্লাভোজ উজনানস্কি (পোল্যান্ড): ১৯৭৮-এর পর পোল্যান্ড থেকে দ্বিতীয় মহাকাশচারী।
টিবোর কাপু (হাঙ্গেরি): ১৯৮০-এর পর হাঙ্গেরির দ্বিতীয় মহাকাশচারী।
প্যাগি হুইটসন (আমেরিকা): একজন অভিজ্ঞ NASA মহাকাশচারী, যিনি এর আগেও স্পেস মিশনে গেছেন।
Axiom-4মিশনে ভারতের আর্থিক ব্যায়
এই মিশন ভারত আমেরিকার যৌথ প্রয়াস। ফলে ভারতকেও বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়|
Axiom Space জানিয়েছে, এই মিশনের খরচ ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৩৮ কোটি টাকা। এই খরচ Blue Origin বা Virgin Galactic-এর মতো সংস্থার তুলনায় অনেক বেশি।
তবে এই টাকা শুধু রকেটে করে যাওয়ার জন্যই নয়। Axiom Space এই মিশনকে ‘এক বছরের মহাকাশ প্রশিক্ষণ অভিযান’ বলছে। এই ট্রেনিং ৮ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলবে। NASA, SpaceX, ESA এবং JAXA-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ট্রেনিং দেওয়া হবে। মোট ৭০০ থেকে ১,০০০ ঘণ্টার ট্রেনিং হবে।
এক্সিওম-৪ মিশনের গুরুত্ব
বিশ্বব্যাপী, এই মিশনের মহাকাশ বাজারের মূল্য প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত, একটি প্রধান মহাকাশ ভ্রমণকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও, এই বাজারের মাত্র ২% ভাগের মালিক। অর্থাৎ, বিশ্বখ্যাতির পাশাপাশি আর্থিক সচ্ছলতার সফলতা কামনায় এগিয়ে গিয়েছে ভারতমাতা।
তবে, যাই হোক ৪১ বছরের ইতিহাসকে পিছনে ফেলে নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে আক্সিম-৪ মিশনের তদারকি দেশব্যাপী এক নুতুন দিগন্তের অধিকারী হবে তা স্পষ্ট ।

Comments