Bhavadighi

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, ভাবাদিঘির রেল জট কাটছে, খুশির হাওয়া গোঘাট জুড়ে

তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। তারকেশ্বর থেকে জয়রামবাটী পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ অনেকদিন আগেই শেষ হয়েছে। ভাবাদিঘি নিয়ে নতুন রেললাইনের সম্প্রসারণের কাজ বার বার বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। সেই ভাবাদিঘি রেল জটের এবার অবসান হতে চলছে।

সুমন চন্দ্র ও প্রদ্যুৎ গুহ (গোঘাট) । ৪ঠা জুলাই ২০২৫ । তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। তারকেশ্বর থেকে জয়রামবাটী পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ অনেকদিন আগেই শেষ হয়েছে। ভাবাদিঘি নিয়ে নতুন রেললাইনের সম্প্রসারণের কাজ বার বার বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। সেই ভাবাদিঘি রেল জটের এবার অবসান হতে চলছে। স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে কলকাতা থেকে তারকেশ্বর স্টেশন হয়ে বিষ্ণুপুর  টেরাকোটা মন্দির, মল্ল রাজাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শহরে পৌঁছানোর।  

দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাটতে চলেছে ভাবাদিঘির রেল জট। আজ শুক্রবার ৪ ঠা জুলাই সকাল থেকেই রেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে মাটি পরীক্ষার কাজ। নতুন রেললাইন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই মাটি পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মাটি পরীক্ষায় নিযুক্ত রয়েছেন বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিক্যাল টিম। ইতিমধ্যেই মাটির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। সফল মাটি পরীক্ষার পরই ডিপিআর প্রস্তুত, ভূমি অধিগ্রহণ এবং রেললাইনের নকশা সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।

এই খবরে স্বভাবতই উৎসাহিত স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিনের এক দাবি পূরণের পথে এগোনোয় গোটা গোঘাট অঞ্চলে খুশির হাওয়া। তাঁদের আশা, নতুন রেললাইন চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও এলাকায় উন্নয়নের হাওয়া বইবে।

এই প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে রেল দপ্তরের সক্রিয়তায় শুরু হয়েছে বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ।

Advertisement