OBC

OBC মামলায় ধাক্কা রাজ্যের , স্থগিতাদেশ প্রকাশ করল : কলকাতা হাইকোর্ট

OBC - র তালিকা সহ রাজ্য ওই সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে , সেগুলির উপর জোরকদমে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে

সঞ্জনা সমাদ্দার । ১৭ ই জুন ২০২৫ । : OBC - র তালিকা সহ রাজ্য ওই সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে , সেগুলির উপর জোরকদমে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, এ দিন মামলাটি ওঠে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তির জন্য  পোর্টাল চালু করে সমস্ত দপ্তরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা  হাইকোর্ট।

OBC মামলার প্রেক্ষাপট

গত বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ২০১০ সাল থেকে মোট ৬৬টি সম্প্রদায়কে দেওয়া ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয়। প্রায় ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল করা হয় বলে সূত্রের দাবি । হাইকোর্টের রায় ছিল ২০১০ সালের আগে ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ। তারপর সব শংসাপত্র বাতিল করে আদালত। উচ্চ আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। মামলা সেখানে চলছে। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তড়িঘড়ি নতুন ওবিসি তালিকা প্রকাশের অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিরুদ্ধে।

মাননীয় বিচারপতিদের বক্তব্য 

বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, রাজ্যের তরফে জারি হওয়া চার থেকে পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি যা সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে । বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আরও বলেন, ২০১২ সালে আইন অনুযায়ী অর্ধেক কাজ করেছেন।তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফেরত গিয়েছেন।রাজ্য কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না? 
অন্যদিকে, তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ওবিসি শ্রেণীভুক্ত ৬৬ টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন | রাজ্য জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষা করছেন। তাহলে , সেই অবধি অপেক্ষা না করে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হল ? ১০ বছর ছাড়া সমীক্ষা করতে হয় , সেই সমীক্ষা করা হয়নি।

মামলাকারীদের মূল বক্তব্য

মামলাকারীদের একাংশের অভিযোগ, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে তার সুর্নির্দিষ্ট তথ্যই রাজ্যের কাছে এখনও সুস্পষ্ট নয় ।এমনকী নতুন কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসি- র তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করাতে হয়। রাজ্য তা করেনি । অর্থাৎ , সুর্নিদিষ্ট কারণগুলিকে বিবেচনা করেই ১৪০ টি জনজাতিকে নিয়ে গঠিত নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

সূত্রের দাবি, ওবিসি নিয়ে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে  পরিবর্তন করা হয়েছে।যার ফলে, ডেঞ্জারাস ডেমোগ্রাফিক এফেক্ট 'পড়বে।রাজ্য অনগ্রসর শ্রেনি কমিশন স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি।অর্থাৎ,আগামী ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement