Hooghly News

এক-বছরে হুগলি জেলাতেই নিখোঁজ ৮০০ বেশি নাবালিকা! কি কারনে নিখোঁজের সংখ্যা এত বেশি? কারণ জানালেন মহিলা কমিশন

গত এক বছরে হুগলি জেলাতেই ৮০০ বেশি নাবালিকা নিখোঁজ, নাবালিকা নিখোঁজের কারণ জানালেন মহিলা কমিশন।

গত এক বছরে হুগলি জেলাতেই নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৮০০ বেশি নাবালিকা, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশন। তাঁদের মতে - পরিবারের অভিভাবকদের এই বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তাঁরা মনে করেন। পরিবারের বাচ্চারা কেন ফোন ব্যবহার করছে? কতক্ষণ ব্যবহার করছে? এবং তাদের কৌতুহলের দিকটি নজরে রাখার প্রয়োজন রয়েছে অভিভাবকদের - বলেই মনে করন জাতীয় মহিলা কমিশন। 

এক-বছরে হুগলি জেলাতেই নিখোঁজ ৮০০ বেশি নাবালিকা!

গত এক বছরে শুধুমাত্র হুগলি জেলাতেই ৮০০ বেশি নাবালিকা নিখোঁজের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন এই বিষয়ে বাচ্চাদের অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার প্রবণতাকেই দায়ী করেছেন। আজ সোমবার ১৭ই মার্চ, চুঁচুড়ার সার্কিট হাউসে পুলিশ প্রশাসন এবং হুগলি জেলা প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। যে বৈঠকে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য মাননীয়া অর্চনা মজুমদার এবং হুগলির অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারীগন উপস্থিত ছিলেন।

নিখোঁজের কারণ হিসেবে কি জানালেন মহিলা কমিশন?

এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয় যে - শুধুমাত্র হুগলি জেলাতেই এক বছরে ৮০০ বেশি নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে। শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলে নাবালিকাদের নিখোঁজের সংখ্যা অনেক বেশি। আর এই নিখোঁজের কারণ হিসেবে নাবালিকাদের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকেই দায়ী করেছে মহিলা কমিশন এবং সেই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মহিলা কমিশনের উদ্বেগের কারণ এবং পরামর্শ 

এই বিষয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন মনে করছেন - নাবালিকাদের অভিভাবকদের আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন। বাড়ির বাচ্চারা কি কারনে ফোন ব্যবহার করছে? তারা ফোনে কি ধরনের বিষয়বস্তুর প্রতি কৌতুহল দেখাচ্ছে? সে বিষয়ে কঠোরভাবে নজর রাখার উপর জোর দিচ্ছেন মহিলা কমিশন। তাছাড়া বাল্যবিবাহের প্রবণতা গ্রামাঞ্চলের দিকে ব্যাপকভাবে বাড়ছে, যা নিয়ম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহিলা কমিশন। আর এই বিষয়ে কঠোর আইন প্রয়োগের বিষয়টিও তাঁরা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া বাল্যবিবাহের প্রবণতা দূর করার জন্য সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন এবং স্কুলে বিশেষ পাঠ্যক্রম চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন মহিলা কমিশন।

Advertisement