Dilip Ghosh
জগন্নাথের পূণ্য স্নানযাত্রায় দুর্গাপুরে হাজির সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ, ঘোচালেন দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে বিতর্কের প্রসঙ্গ
বুধবার দুপুরে দুর্গাপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডে অবস্থিত সুপ্রসিদ্ধ জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে সস্ত্রীক হাজির হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
বিধান চন্দ্র গাঙ্গুলী, দুর্গাপুর : আজ ১১জুন ২০২৫ বাংলার জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমার পূণ্য তিথিতে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে সারাদেশে। ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরেও প্রবল উদ্দীপনা ও আনন্দের সাথে পালিত হচ্ছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব। সেই উপলক্ষে বুধবার দুপুরে দুর্গাপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডে অবস্থিত সুপ্রসিদ্ধ জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে সস্ত্রীক হাজির হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দীঘার জগন্নাথধাম দর্শন করতে গিয়ে যে বিতর্ক প্রসঙ্গ
দীঘার জগন্নাথধাম দর্শন করতে গিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল সেই বিতর্কের এদিন পরিসমাপ্তি ঘটালেন তিনি। সাফ সাফ জানালেন, "আমাকে নিয়ে দলের কোনো সমস্যা নেই, তবে কিছু কিছু লোকের সমস্যা আছে। তাতে অবশ্য আমার কোনো সমস্যা নেই।" বুধবার দুপুরে জগন্নাথ মন্দিরে মন্ত্র, রীতিনীতি ও উপাচার মেনে জনগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে স্নান করান সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, বিজেপি যুবনেতা পারিজাত গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা। প্রভুকে দর্শন করতে মন্দিরে এসে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন মন্দিরে উপস্থিত ভক্তরা। স্বভাবতই প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কাছে পেয়ে দীঘার জঙ্গন্নাথ মন্দিরের বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠতেই স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ জানান, "ভক্তের সঙ্গে ভগবানের নিবিড় সম্পর্ক। ভগবানের টানেই ভক্ত ছুটে আসে। ভগবান ডাক দিলেই ছুটে যাই। কার মন্দির, কে বানিয়েছে, কিসের রাজনীতি সেসব বিষয়ের কোনো মানে হয়না। পশ্চিমবঙ্গে সবকিছু নিয়েই সমালোচনা হয়। কিছুই এসে যায়না তাতে। দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রভু জগন্নাথের টানেই গেছি। মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি যখন আমাকে ডাকেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাই। এতে সমস্যা কিসের। দলের তো কোনো সমস্যা নেই। তবে কিছু কিছু লোকের এতে সমস্যা আছে। তাতে অবশ্য আমার কোনো সমস্যা নেই।"
দিলীপ জায়া রিঙ্কু মজুমদার দীঘার জগন্নাথ দর্শন সম্বন্ধে মন্তব্য
অন্যদিকে দিলীপ জায়া রিঙ্কু মজুমদার বলেন, "দুর্গাপুরে জগন্নাথ মন্দিরে এসে তিনি আপ্লুত। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তাঁর স্বামী কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেননা এবং নেননি। উনি যা সঠিক মনে করেছেন তাই করেছেন। বিতর্ক সৃষ্টি করা রাজনীতির একটা অংশ।"
প্রাতঃভ্রমণে প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সকালে দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী ময়দানে স্ত্রী ও দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে নিজেকে দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি, বলেন, "আমি দলের কোনো পদাধিকারী নই, দলের একজন সাধারণ কর্মী এবং সবসময় সাধারণ কর্মীদের সাথেই আছি। দলের সাধারণ কর্মীদের খোঁজখবর সেভাবে কেউ নেয়না। তাই আজ দলের সাধারণ কর্মীদের সাথে আলাপচারিতা সারতে এলাম।" এখন প্রশ্ন হলো যে দাবাং নেতার হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে গেরুয়া শিবিরের উত্থান, যাঁর হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে সাংসদের সংখ্যা ১৮, বিধায়কের সংখ্যা ৭৭ হলো, তাঁকে হঠাৎ করে কেন ব্রাত্য করেছে দল? তাঁর নিজের গড় মেদিনীপুর থেকেও একপ্রকার ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে লড়তে পাঠানো, কোথাও যেন দলের অন্দরেই বিভীষণের উদ্রেগ? আদতে এই বিভীষণের উপস্থিতি রাম রাজ্য গড়বে না লঙ্কার ন্যায় ডুববে তা ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন জানান দেবে।

Comments