Tangra Deaths Update

বাজারে লোন ১৫ কোটি! অর্থনৈতিক সংকটেই কি দিশেহারা হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল ট্যাংরার দে পরিবার?

বাজারে ধার ১৫ কোটি টাকা! এত অর্থ নিয়ে কি করেছিলেন ট্যাংরার দে পরিবার? বা কোথায় গেল এত টাকা?

ট্যাংরার দে পরিবার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বন্ধক রেখেছিলেন তাঁদের ট্যাংরার বাড়ি এবং কারখানা। যদিও বোলপুরে থাকা তাঁদের সম্পত্তি তাঁরা বিক্রি করতে পারেননি। তবে তদন্তে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দেনার দায়েই দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ট্যাংরার দে পরিবার, আর সেই কারণেই তারা চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বরাত জোরেই কি বেঁচে যান প্রণয়, প্রসূন ও প্রতীপ?

সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, ট্যাংরার দে পরিবার তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা তে পরপর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। আর সেই ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে যান দে পরিবার। ফলে রাস্তা না পেয়ে দেনার চাপ থেকে মুক্ত হতেই তাঁরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তবে পরিবারের তিন জনকে খুন করে, মেট্রোর পিলারে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা খেয়েও বরাত জোরে বেঁচে যান প্রণয়, প্রসূন ও প্রতীপ।
 
 

দে পরিবারের আর্থিক লোনের পরিমাণ ১৫ কোটি!
 

ট্যাংরার দে পরিবার, পরিবারের মোট ছ'টা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক সংস্থা মিলিয়ে বাজারে সর্বমোট 15 কোটি টাকা ধার নিয়েছিল। এছাড়া আরও বেশ কিছু মহাজনের কাছ থেকেও চার কোটি টাকা ধার নিয়েছিল। যদিও এই বিপুল পরিমাণ টাকা ধার নিয়ে তাঁরা সেই টাকা দিয়ে কি করেছিলেন বা সেই টাকা কোথায় গেল তা এখনো জানা যায়নি। শুধু তাই নয় দে পরিবার তাঁদের নিজস্ব কারখানা এবং ট্যাংরার বাড়িটিকেও বন্ধক রেখেছিলেন।

কেন অর্থনৈতিক সংকটে দিশেহারা দে পরিবার?

নিজেদের কারখানা ও ট্যাংরার বাড়িটি বন্ধক রেখে এছাড়া পারিবারিক বেশ কিছু সোনার গয়না নিয়ে মোট ১৯ লাখ টাকা তাঁরা যোগাড় করতে পেরেছিলেন। সেই টাকা কর্মীদের বেতন মেটানোর কাজে লাগান তাঁরা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আরও জটিল হয়ে ওঠে আর্থিক সংকট। এমনকি নিজেদের খরচ মেটাতেও বেগলাগাম ভাবে অর্থ খরচ করতেন দে পরিবার, ফলে অর্থনৈতিক সংকট আরও বেড়ে যায়। 

ট্যাংরার দে পরিবারের অর্থনৈতিক সংকট ২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। আর সেই কারণেই নিজেদের ট্রেড লাইসেন্সও রিইনু করাতেন না। এছাড়া বোলপুরের শাড়ির ব্যবসাটিও বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ে ট্যাংরার দে পরিবার

Advertisement