Dilip Ghosh

"দুর্ভাগ্য আমার, পুত্রসুখ হয়নি, পুত্রশোক হলো" - ২৮ বছর বয়সী পুত্রকে হারিয়ে বেদনার্ত বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ

২৮ বছর বয়সী, পেশায় আইটি কর্মী পুত্র প্রীতম দাশগুপ্তকে হারালেন নব দম্পতি রিঙ্কু ঘোষ ও দিলীপ ঘোষ। নব দম্পতির পুত্রের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য।

বিয়ে হয়েছে মাত্র ২৫ দিন অর্থাৎ এখনো একমাস সম্পূর্ণ হয়নি, আর তার মধ্যেই নব দম্পতির জীবনে নেমে এলো চরম বিপর্যয়। নব দম্পতি অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ এবং রিঙ্কু মজুমদারের জীবনে নেমে এলো চরম বিপর্যয়। এই দম্পতি তাঁদের আঠাশ বছর বয়সী পুত্রকে অকালে হারালেন। মঙ্গলবার, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার (রিংকু ঘোষ) এর যুবক ছেলে প্রীতম দাশগুপ্ত (সৃঞ্জয়) এর নিথর দেহ উদ্ধার হল নিউটনের ফ্ল্যাট থেকে।

প্রীতম দাশগুপ্তের মৃত্যু ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য!

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে হয়েছে এখনো এক মাসও হয়নি। কিন্তু তার মধ্যেই নব দম্পতির জীবনে নেমে এলো চরম বিপর্যয়। এই দম্পতি তাঁদের একমাত্র পুত্র প্রীতম দাশগুপ্তকে অকালে হারালেন। আজ মঙ্গলবার ১৩ই মে নিউটাউন এর ফ্ল্যাট থেকে আঠাশ বছর বয়সী প্রীতম দাশগুপ্তের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও এই মৃত্যু ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য।

"আমার দুর্ভাগ্য যে আমার পুত্রসুখ হয়নি, পুত্রশোক হলো"

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন - "কি হয়েছে? কেন হয়েছে? কিছুই বুঝতে পারছি না! পুরোটাই রহস্য রয়ে গিয়েছে।" তবে এই ঘটনা কেন ঘটেছে, তা পোস্টমাটামের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে বলে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন - ছেলে তাঁর মায়ের সবকিছু ছিল। কিন্তু অকালে সেই ছেলে চলে গেল "আমার দুর্ভাগ্য যে আমার পুত্র সুখ হয়নি, পুত্র শোক হলো - কোনদিন এমন আমি কল্পনা করিনি"

সকালে অচৈতন্য অবস্থায় প্রীতমকে দেখেন তাঁর বন্ধুরা!

১৩ই মে মঙ্গলবার নিউটাউন এর ফ্ল্যাট থেকে ২৮ বছর বয়সী প্রীতমের দেহ উদ্ধার হয়। সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, রাতে এক বান্ধবী এবং বন্ধু নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। সকালে প্রীতমকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁরা পান এবং সেই সময় প্রীতমের মা অর্থাৎ রিঙ্কু দেবীকে ফোন করে তাঁরা জানান এবং রিঙ্কু দেবী সঙ্গে সঙ্গেই ছেলের কাছে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যান ও তাঁকে বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসকরা পেশায় আইটি কর্মী সৃঞ্জয়কে (প্রীতম) মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

মর্মান্তিক খবরে ভেঙে পড়েছেন মা রিঙ্কু দেবী

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে ১৮ই এপ্রিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রিঙ্কু মজুমদার সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন এবং সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রীতম উপস্থিত ছিলেন না। যদিও তিনি মায়ের সিদ্ধান্তকে আনন্দের সঙ্গে মেনে নিয়েছিলেন এবং তিনি নব দম্পতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন। এমনকি প্রীতম গত রবিবার অর্থাৎ ১১ই মে কেক কেটে "মাদার ডে" পালন করেন এবং মা রিঙ্কু দেবীকে মাতৃ দিবসের উপহার দেন। তবে আজ সকালেই এমন মর্মান্তিক খবরে ভেঙে পড়েছেন মা রিঙ্কু দেবী।

হাসপাতালে নিয়ে আসার চার ঘন্টা আগেই মৃত্যু প্রীতমের

২৮ বছরের তরুণ প্রীতম আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর অন্য কোন কারণ রয়েছে - সেই নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রায় চার ঘন্টা আগেই প্রীতমের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জানা গিয়েছে প্রীতমের প্যানক্রিয়াসে ইনফ্লেমেশন হয়েছিল। এবং তাঁর ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে তাঁর কিডনি, লিভার এবং হৃৎপিণ্ড আকারে তুলনামূলকভাবে একটু বড়। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ কি? - সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ছেলে প্রীতম দাশগুপ্তের রহস্য মৃত্যু! বেদনার্ত নব-দম্পতি

এই ঘটনায় নব দম্পতির চোখে মুখে নেমে এসেছে বিষাদ। আজ সকাল থেকে দিলীপ ঘোষকে দেখা না গেলেও বিকেলে শ্মশানে তাঁকে দেখা গেছে। কিভাবে একটা জলজ্যান্ত তরতাজা যুবক এভাবে চলে গেল তা বুঝেই উঠতে পারছেন না বেদনার্ত দিলীপ ঘোষ। সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, প্রীতম খুবই হাসিখুশি থাকতো তবে সে বেশ কিছুদিন আগে থেকে স্নায়ু রোগের ওষুধ খাচ্ছিল। যুবক ছেলের রহস্যজনক অকাল মৃত্যুতে নব দম্পতির জীবনে বিষাদের সুর। তবে ছেলে প্রীতম দাশগুপ্তের রহস্য মৃত্যু ঘিরে রিংকু দেবী এবং দিলীপ ঘোষ কোনো মন্তব্য করেননি।