Amit shaha

লক্ষ্য বিজয়, সংকল্প পরিবর্তনের ! সভাস্থলে নির্বাচনের দাওয়াই অমিত শাহের

অপারেশন সিঁদুর'থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হিন্দুদের উপর অত্যাচার,নাগরিকত্বের দাবি থেকে বাংলার তোষণ রাজনীতি ! কীভাবে দমন করবে যুব মোর্চা ?তারই রণকৌশল ছিল আজকের শাহের ভাষন

সঞ্জনা সমাদ্দার : নির্বাচনের প্রাককালে বাংলাকে পাখির চোখ করে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আলিপুরদুয়ায়ে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।মোদীজির হাত ধরেই বাংলায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের নিয়ে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগাঠনিক সভায় বক্তৃতা রাখলেন অমিত শাহ। 'অপারেশন সিঁদুর', থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং  মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা কে উপেক্ষা করে কীভাবে নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাবেন দলীয় কর্মীরা তারই দাওয়াই দিলেন শাহজি ।এরই মধ্যে, সভাস্থল থেকে  দুর্নীতির  কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বার বার কড়া আক্রমনের সুর চড়াতে ভোলেননি তিনি|

 শাহের আক্রমনে মমতার সরকার

নেতাজি ইন্ডোরে উপস্থিত হয়ে ' কালীঘাট থেকে দক্ষিনেশ্বর , রামকৃষ্ণ থেকে কবিগুরু এবং স্বামীজিকে প্রনাম জানিয়ে তার বক্তব্যের সূচনা পর্ব শুরু করেন । অর্থাৎ শাহজি আবারও বুঝিয়ে দিলেন বাংলার গৌরব সংস্কৃতি ঐতিহ্যের প্রতি তার আন্তরিক সম্মান ঠিক কতটা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই পূর্ণভূমি বছরের পর বছর ধরে ভারতকে পথ দেখিয়েছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্ম, স্বাধীনতা, সংগ্রাম  প্রতিটি ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভারতের নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই তার পরে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে মমতাদিদি সরকার গঠন করেন। তিনি এই মহান বঙ্গভূমিকে আজ অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, মহিলাদের উপর অত্যাচার, অপরাধ, বোমা বিস্ফোরণ এবং হিন্দুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কেন্দ্রে পরিণত করেছেন বলে তীব্র কটাক্ষ করেন শাহজি ।শাহ বলেন, মোদীজির নেতৃত্বে বাংলার বিকাশের জন্য অনেক কাজ হয়েছে। কাজের নির্দর্শনে বলা যেতেই পারে, বহু বছর ধরে বাংলার মানুষের দাবি ছিল যাতে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই কাজ সম্পুর্ন হলেও ধন্যবাদ জানানোর শিষ্টাচারটুকুও দেখায়নি মাননীয়া মমতা দিদি ।

বিজেপি সরকার গঠনে দাওয়াই শাহের

বাংলায় বিজেপি সাফল্য ব্যাখা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন , ২০১৭ সালে ভোটের পর আমরা প্রস্তুতি নিই ।২০২৬ সাল পর্যন্ত দিন-রাত এক করে বাংলার প্রত্যেক ভোটারের কাছে  নরেন্দ্র মোদীর বার্তা নিয়ে পৌঁছে যান ।দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ, মহিলাদের উপর অত্যাচার, হিন্দুদের উপর অন্যায়ের উপর তোষণের রাজনীতি বন্ধ হোক। মমতাদিদির আমলে এসএসসি দুর্নীতি, গরুপাচার কাণ্ড, লটারি কাণ্ড, কয়লা দুর্নীতি, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, জিটিএ দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার জনতার হাজার কোটি টাকা তৃণমূলের সিন্ডিকেটের কাছে জমা রয়েছে । তৃণমূলের রাজনীতি তোষনের রাজনীতি , তা দ্রুত বন্ধ না হলে বাংলা সিন্ডিকেটের রাজ্যে পরিনত হবে ।

একইসাথে, শাহের বক্তব্যে উঠে আসে আরজি কর , সন্দেশখালি , ওয়াকফ বিল , নাগরিকত্বের ভয়ে ভীত হওয়া হিন্দুদের জন্য আশ্বাসবানী 'ভয় পাবেন না' । অর্থাৎ , আজ শাহজির সভা যে বাংলার প্রতিটি কর্মীকে আরও দৃড় মনোবল বাড়িয়ে দিলেন তা বলাই বাহুল্য । অর্থাৎ,তাঁদের ভাষায় বলা যেতেই পারে লক্ষ্য বিজয়, সংকল্প পরিবর্তনের ।

Advertisement