কাটোয়াতে ফের আবাস যোজনার অনুদান থেকে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে কাটমানির জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বরমপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা চাঁদু দাস নামে এক ব্যক্তি

পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার স্থানীয় বরমপুর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে কাটমানির জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বরমপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা চাঁদু দাস নামে এক ব্যক্তি । পেশায় জনমজুর চাঁদু দাসের অভিযোগ যে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরেই পর ৮ নম্বর সংসদের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা ভরি দাসের স্বামী সঞ্জয় দাসকে ৫ হাজার টাকা কাটমানি দিতে হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলে ফের ফোন করে তার কাছে ৬ হাজার টাকা কাটমানি দাবি করেন সঞ্জয় ।  চাঁদু দাস ওই কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং সহ বিডিওর কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন । যদিও বিষয়টি কোনো মন্তব্য করেননি কাটোয়া ১ বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক । 

বাংলার আবাস যোজনায় কাটোয়ার আলমপুর এবং বরমপুর পঞ্চায়েত 

জানা গেছে,চলতি অর্থবর্ষে কাটোয়া ১ ব্লকে মোট ১৮৬৬ জন উপভোক্তার জন্য বাংলা আবাস যোজনার অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন ২১৬ জন এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন ২০৫ জন উপভোক্তা।দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার তালিকায় রয়েছে  বরমপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা চাঁদু দাসের নাম ।

বাংলার আবাস যোজনায়বাড়ি তৈরি জন্য কি কাটমানি লাগে?

তিনি বলেন,’চলতি বছরের প্রথমদিকে প্রথম কিস্তির অনুদান পেয়ে কাজ শুরু করি । সম্প্রতি দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকার অনুদান আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে । প্রথম কিস্তির জন্য ৫ হাজার টাকা ‘কাটমানি’ হিসাবে বুঝিয়ে দিতে হয়েছিল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে । দ্বিতীয় কিস্তির জন্য দিন দুয়েক আগে টাকা চেয়ে সঞ্জয় দাস আমার ছেলে বাপ্পার মোবাইলে ফোন করে। সঞ্জয় বলে যে  ওই ৬০০০ টাকা অফিসে লাগবে । আগের টাকা নাকি পার্টি ফাণ্ডে দিতে হয়েছিল।’  

কাটমানির দাবি নস্যাৎ 

যদিও সঞ্জয় দাসের দাবি,চাঁদু দাস তার কাছে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন । গ্রাম্য পুজোর খরচ খরচাত জন্য আমি টাকা ফেরতের জন্য ফোন করেছিলাম । হয়তো এজন্য ওর সন্মানে লেগেছে । তাই  আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।’ 

কথোপকথনের অডিও ভাইরাল 

কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী যাই দাবি করুন না কেন চাঁদু দাসের ছেলের সঙ্গে কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গেলে এলাকায় ছি ছি পড়ে গেছে । ফলে বিধানসভার ভোটের ঠিক মুখেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গেছে শাসকদল । যদিও আলমপুর পঞ্চায়েত প্রধান মোল্লা নজরুল হক উল্টে উপভোক্তার ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন । তার কথায়,’যিনি অভিযোগ তুলছেন তার পঞ্চায়েতে জানানো উচিত ছিল ।

Advertisement