Kharchi festival

ত্রিপুরা খয়েরপুর পুরাতন হাবেলিতে শুরু জাতি-জনজাতি মানুষজনদের ঐতিহ্যবাহী রাজন্য আমলের খার্চি উৎসব উপলক্ষে সকল রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

আজ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ঐতিহ্যবাহী চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে এই ৭ দিনব্যাপী খার্চি মেলার উদ্বোধন করবেন।

ত্রিপুরা,বিক্রম কর্মকার। ৩রা জুলাই ২০২৫। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ত্রিপুরা খয়েরপুর স্থিত পুরাতন হাবেলির চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে রাজন্য আমল থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব উপলক্ষে সকল রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজন্য আমলের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চতুর্দশ দেবতার স্নানযাত্রা সম্পর্ণ হয়েছে হাওড়া নদীর জল থেকে জল এনে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চতুর্দশ দেবতাকে হাওড়া নদী থেকে জল এনে স্নান করানো হয়েছে। আজ থেকে ৭ দিনের জন্য অধিষ্ঠিত হয়েছেন চতুর্দশ দেবতা। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে পূজার্চনা। 

আজ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ঐতিহ্যবাহী চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে এই ৭ দিনব্যাপী খার্চি মেলার উদ্বোধন করবেন। উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, এলাকার বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ড: বিশাল কুমার সহ অন্যান্যরা। 

আগরতলা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে খয়েরপুর চতুর্দশ দেবতা মন্দির অবস্থিত। ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দের আগে ত্রিপুরেশ্বর ভৈরব মন্দিরের পাশে দুটি মন্দিরে চতুর্দশ দেবতার মূর্তি গোমতী জেলা উদয়পুরে ছিল। ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা কৃষ্ণ কিশোর মানিক্য শমসের গেজের কাছে পরাজিত হয়ে তাঁর রাজধানী উদয়পুর থেকে পুরাতন আগরতলা খয়েরপুরে স্থানান্তরিত করেন এবং চতুর্দশ দেবতার মূর্তিগুলি ও পুরাতন আগরতলা খয়েরপুরে নিয়ে গিয়ে একটি নতুন মন্দির স্থাপন করা হয়। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে খয়েরপুর পুরাতন আগরতলা আবার বর্তমান আগরতলায় স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু, চতুর্দশ দেবতার মূর্তিগুলি পুরাতন আগরতলার খয়েরপুর একই মন্দিরে রয়ে গেছে। 

খার্চি উৎসব উপলক্ষে পুরাতন প্রাসাদের আশপাশে সাতদিন ধরে একটি বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি একটি জনপ্রিয় ধর্মীয় মন্দির যেখানে দেশজুড়ে হাজার হাজার ভক্ত মহা জাঁকজমকের সাথে খার্চি উৎসব উদযাপন করতে প্রত্যেক বছরই সমবেত হন। চতুর্দশ দেবতার পুজোর সাথে একটি প্রাচীন ইতিহাস এবং কিংবদন্তি জড়িত। মহাভারতের সময় যুধিষ্ঠিরের সমসাময়িক ত্রিলোচন ত্রিপুরার রাজা ছিলেন যিনি এই চতুর্দশ দেবতাদের রাজকীয় দেবতা হিসেবে পুজো করতেন। এই মন্দিরের ভেতরে চতুর দোষ দেবতার মূর্তি পূর্ণ দেহ ধারণ করে না, কেবল দেবতাদের মাথার মূর্তি রয়েছে।

Advertisement