Sex racket

ত্রিপুরা উত্তর জেলা ধর্মনগরের  বিতর্কিত ভেনাস বিউটি পার্লারে চলছে সেক্স রেকেট! মহিলা সাংবাদিককে ফোন করে হুমকি দেবার ঘটনায় জড়িত সৌরভ মজুমদার

ত্রিপুরা উত্তর জেলা ধর্মনগর থানার একেবারে মুখোমুখি ভেনাস বিউটি পারিবারিক সেলুন নামে এক বিউটি পার্লারে সেক্স রেকেট চলাকালীন সময় স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় পুলিশ আচমকা অভিযান চালায়

ত্রিপুরা, বিক্রম কর্মকার : ত্রিপুরা উত্তর জেলা ধর্মনগর থানার একেবারে মুখোমুখি ভেনাস বিউটি পারিবারিক সেলুন নামে এক বিউটি পার্লারে সেক্স রেকেট চলাকালীন সময় স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় পুলিশ আচমকা অভিযান চালায়। স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মনগর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর হরেন্দ্র দেববর্মা বিশাল মহিলা পুলিশ বাহিনী নিয়ে এই অভিযান চালায়।

ম্যাসাজ সার্ভিসের নামে সেক্স রেকেট 

অভিযানে ধৃত বিউটি পার্লারের ভিতরে চারজন মহিলা কর্মী উপস্থিত ছিলেন, যাঁরা ‘ম্যাসাজ সার্ভিস’-এর কথা স্বীকার করেন। চমকপ্রদভাবে, বিউটি পার্লারের ভিতরে চারটি আলাদা ঘর পাওয়া যায় যেখানে সেই সার্ভিস চলত বলে জানা গেছে। অভিযানের সময় ‘ম্যানেজার’ পরিচয়দানকারী পলাশ নামে এক অভিযুক্ত পুলিশ এবং এলাকাবাসীদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়, যা তদন্তে নতুন মোড় আনতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।

মহিলা সাংবাদিককে ফোনে হুমকি 

ভেনাস বিউটি পার্লারটির দেখাশোনা করতে পশ্চিম ত্রিপুরা রানিরবাজার এলাকার সঞ্জিত মজুমদারের ছেলে সৌরভ মজুমদার। অভিযুক্ত সড়ক মজুমদার কয়েকদিন আগে আগরতলার এক মহিলা সাংবাদিককে ফোনে হুমকি প্রদান ও করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ধর্মনগর নয়াপাড়া এলাকায় এমন একটি ঘটনায় অভিযুক্ত সৌরভ মজুমদারের নাম জড়িয়েছিল।

থানার নাকের ডগায় বিউটি পার্লারে সেক্স রেকেট 

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো ধর্মনগর থানার নাকের ডগায় অবস্থিত এই বিউটি পার্লারের কোনও ট্রেড লাইসেন্স ছিল না, যদিও এটি তিন মাস ধরে চালু ছিল। নিচে অবস্থিত আইএফএল ব্যাংক ও অন্যান্য  দোকানের পাশেই গড়ে উঠেছিল এই বিউটি পার্লারটি। যেখানে পুরুষদের আনাগোনা ছিল লক্ষ্যণীয়, কিন্তু মেয়েদের উপস্থিতি ছিল খুবই সীমিত এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। 

বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছে দেহ ব্যবসা অভিযোগ এলাকাবাসীর

 পুলিশ বিউটি পার্লারটি সিল করে সমস্ত নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। শহরের নাগরিক সমাজ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, আগরতলা সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছে দেহ ব্যবসা অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এখন প্রশ্ন উঠছে, উত্তর জেলা ধর্মনগর শহরে পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনেই এই অপকর্ম চলছিল কিন্তু পুলিশ এতদিন কেন এই বিউটি পার্লারের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি? এখন দেখার বিষয়, এই বিউটি পার্লারের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবং অভিযুক্ত সৌরভ মজুমদার সহ অন্য অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য  প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে?

Advertisement