ত্রিপুরা
খোয়াই জেলার চাম্পাহাওর থানাকে পুরস্কারের দাবিতে ক্ষুব্ধ জনতা! এক বছর নীরব পুলিশ, হঠাৎ ৭ বাংলাদেশি আটক— রহস্য ঘনীভূত
খোয়াই জুড়ে নেশা বিরোধী আন্দোলনে যখন সচেতনতা বাড়ছে, তখন চাম্পাহাওর থানার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী
যশপাল সিং, ত্রিপুরা : খোয়াই জেলার চাম্পাহাওর থানা এলাকায় দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো নেশা বিরোধী অভিযান নেই—এমনই বিস্ময়কর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। জনগণের কণ্ঠে ক্ষোভ এতটাই তীব্র যে তাঁরা কটাক্ষ করে বলছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবার চাম্পাহাওর থানাকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হোক!
অভিযোগ, আশারামবাড়ি গ্রাম হয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার বাংলা মদ ও অন্যান্য নেশাজাত সামগ্রী পাচার হচ্ছে। ফলে চাম্পাহাওর থানা কার্যত ত্রিপুরার নেশার করিডোরে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এ থেকে চলছে কমিশনের বড় খেলা। অন্যদিকে খোয়াই সদর থানার সুভাষপাড়াসহ অন্যান্য থানায় পুলিশ যখন দিনরাত অভিযান চালাচ্ছে, তখন চাম্পাহাওর থানা বছরের পর বছর নীরব দর্শক। খোয়াই শহরে প্রবেশ করা নেশাদ্রব্যের অন্তত ৯৫ শতাংশই আসে আশারামবাড়ি সীমান্ত দিয়ে—এমনই দাবি জনসাধারণের।
এই অভিযোগের মাঝেই রবিবার রাতে নামকাওয়াস্তে অভিযান চালিয়ে চাম্পাহাওর থানার পুলিশ ৭ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে। আশারামবাড়ি আন্তর্জাতিক সীমান্তের সোমবাইরা বাজার এলাকা থেকে অটোগাড়িতে ধরা পড়া এই সাতজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু এখানেই উঠছে নতুন প্রশ্ন। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিনই সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রবেশ করছে, অথচ এই সাতজনকেই হঠাৎ ধরা হল কেন? এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কি না, তা নিয়েই এখন জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
জনগণের বক্তব্য, নেশা পাচার রুখতে পুলিশের আরও কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। খোয়াই জুড়ে নেশা বিরোধী আন্দোলনে যখন সচেতনতা বাড়ছে, তখন চাম্পাহাওর থানার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলে। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

Comments