Accident
ত্রিপুরা কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে যান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু স্বামী-স্ত্রীর !
কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু স্বামী স্ত্রীর
ত্রিপুরা, বিক্রম কর্মকার: রবিবার আবারো এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটলো ত্রিপুরায়। ছেলে তার মাকে বলেছিল যে তার তিন দিনের অফিস বন্ধ আছে রবিবার ত্রিপুরা সিপাহীজলা জেলা কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে চাই। ছেলের সেই আবদার পূরণ করতে রবিবার দুপুরে কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে যায় দিবাকর ঘোষ তার স্ত্রী প্রিয়াংকা ঘোষ সহ দিবাকর ঘোষের মা-বাবা ও মাসি। কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে দিবাকর ঘোষ তার মাকে বলে তারা সবাই অন্য একটি গাড়ি করে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য। দিবাকর ঘোষ তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বিশালগড় নৌকাঘাট ঘুরে বাড়ি চলে আসবে। সেই কথা বলেই দিবাকর ঘোষ ও তার স্ত্রী প্রিয়াংকা ঘোষ TR01AW9205 নম্বরের স্কুটি নিয়ে কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দির থেকে সিপাহীজলা নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের পেছন অন্য গাড়ি করে দিবাকর ঘোষের মা,বাবা মাসি আসছিল। হঠাৎ দিবাকরের বাবা ফটিক ঘোষ দেখতে পায় গোকুলনগর ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস জওয়ানদের ক্যাম্পের পাশে প্রচন্ড লোকজনদের রাস্তায় ভিড় জমে আছে। দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে তিনি দেখতে পান উনার ছেলে দিবাকর ঘোষ পুত্রবধূ প্রিয়াংকা ঘোষ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন। দুর্ঘটনার সাথে সাথে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস ক্যাম্পের জওয়ানরা গাড়ি করে দিবাকর ঘোষকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য আগরতলা হাঁপানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে মৃত বলে ঘোষণা করে, অন্যদিকে আগরতলা হাঁপানিয়া হাসপাতালে দিবাকর ঘোষকে ও মৃত বলে ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মৃতদেহ উল্লেখিত হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার ময়নাতদন্তের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনের মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের লোকজনদের হাতে।বেশ কিছুদিন হয়েছে তাদের বিয়ে হয়েছে। ফটিক ঘোষের একমাত্র ছেলে ছিল দিবাকর ঘোষ, অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা ঘোষ ছিল তার পরিবারের একমাত্র কন্যা। নিহত দিবাকর ঘোষ ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলা বিলোনিয়া ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর একসাথে মৃত্যুতে ঘোটা এলাকায় মানুষজনদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Comments