মহারাজা বীরবিক্রম

আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীরবিক্রমের স্বপ্নপূরণ করছে বিজেপি: জন্মজয়ন্তীতে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী

মহারাজা বীরবিক্রম আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা

যশপাল সিং, ত্রিপুরা :  আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের ১১৭তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার আগরতলার কামান চৌমুহনী (জিরো পয়েন্ট)-তে এক ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহারাজার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা, আগরতলার মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহারাজা বীরবিক্রমই ছিলেন আধুনিক ত্রিপুরার প্রকৃত স্বপ্নদ্রষ্টা এবং তাঁর সেই স্বপ্নকে পাথেয় করেই বর্তমান বিজেপি চালিত সরকার এক প্রগতিশীল ও উন্নত ত্রিপুরা গড়ার কাজ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মহারাজা বীরবিক্রম স্বপ্ন দেখেছিলেন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং সাধারণ কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ হবে। আজ আমরা সেই স্বপ্নগুলিকেই পূরণ করছি।"

পূর্ববর্তী সরকারগুলি মহারাজাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেও মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "বিজেপি সরকারের আমলেই তাঁকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকারই তাঁর শাসনকালে নির্মিত রাজ্যের প্রাচীনতম বিমানবন্দরটির নামকরণ ‘মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর’ করে তাঁকে সম্মানিত করেছে।"

মুখ্যমন্ত্রী মহারাজার আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই তিনি জার্মানি ও আমেরিকার মতো দেশ ভ্রমণ করেছিলেন আধুনিক ত্রিপুরার রূপরেখা তৈরি করার ধারণা সংগ্রহ করতে। তাঁর সেই দূরদর্শী প্রচেষ্টাই এক প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

মহারাজা বীরবিক্রমের ঐক্য ও সংহতির প্রতি দায়বদ্ধতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন ডাঃ সাহা, বিশেষ করে জনজাতি ও অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনে তাঁর কাজের কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "তাঁর জীবন ও নেতৃত্ব থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।" তিনি ত্রিপুরার যুবসমাজকে মহারাজার অবদান সম্পর্কে পড়াশোনা করার এবং রাজ্যের প্রতি তাঁর উৎসর্গ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মৃতি ভবনে (আরএস ভবন) আয়োজিত মহারাজার জন্মজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন। সেখানে সাংসদ কৃতী সিং দেববর্মণ, পদ্মশ্রী চিত্ত মহারাজ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement